চল্লিশে বাংলাদেশ
সুপারস্টার সালমান শাহ'র মৃত্যু
বাংলাদেশে সালমান শাহ অভিনীত প্রথম সিনেমা 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' সিনেমার শেষ দৃশ্যের মত তার জীবনের রথও থেমে গিয়েছিল ওই ছবি করার ঠিক চারবছর পর ১৯৯৬ সালের ৬ ই সেপ্টেম্বর। সেদিন ছিল শুক্রবার। সকাল ১১টা দিকে একটা ফোন আসে তার মা নীলা চৌধুরীর বাসায়। বলা হয় সালমানকে দেখতে চাইলে তখুনি যেতে হবে। এ কথার পরেই তারা যান সালমানের বাসায়। সালমানের ইস্কাটনের বাসায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ডাক্তাররা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ময়নাতদন্তে বের হয়ে আসে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। সম্পূর্ণ আকস্মিক এই ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ে তার পরিবার এবং পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে সালমানের অসংখ্য ভক্ত তার মৃত্যু মেনে নিতে না পারায় বেশ কয়েকজন তরুণীর আত্মহত্যার খবরও আসে পত্রিকায়। পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের মত ময়নাতদন্ত করা হয়।
মৃত্যুর আটদিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেই বোর্ডের প্রধান ছিলেন ডাক্তার নারগিস বাহার চৌধুরী, যিনি বলেছেন আত্মহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ তারা পেয়েছিলেন। সালমানের পারিবারিক বন্ধু পরিচালক শাহ আলম কিরণ বলেছেন শেষের দিকে বেশ মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন সালমান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন ও প্রযোজকদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় ঘাটতি দেখা দিয়েছিল সেসময়। এদিকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আবার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে মামলার কাজ সেখানেই থেমে যায়। তবে সালমান শাহকে নিয়ে আলোচনা থামে না। মাত্র চার বছরে ২৭ টি সিনেমায় অভিনয় করে সালমান শাহ বাংলা সিনেমায় নিজের যে স্থানটি করে নিয়েছিলেন তার অভাব এখনো অনুভব করেন দর্শক, পরিচালক, প্রযোজক সবাই।
বাংলাদেশের ইতিহাসের এই উল্লেখযোগ্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসি বাংলার ফারহানা পারভীন।
.......................................................................................................
........................................................................................................
.......................................................................................................