চল্লিশে বাংলাদেশ
চল্লিশে বাংলাদেশ : যুদ্ধাপরাধের বিচার
২০১১ সালের ২০শে নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়েতে ইসলামী নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কাজ শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু সেদিন মি: সাঈদীর বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা ধর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। অন্যদিকে মি: সাঈদীর পক্ষে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেন। ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রায় দেড় বছর পর প্রথম বিচার কাজ শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল। ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে রাজনৈতিক জোট ক্ষমতাসীন হবার এক বছরেরও বেশি সময় পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে যাদের বিচার চলছে তাদের অন্যতম মতিউর রহমান নিজামী
এর তিনমাস পরে ২৯শে জুন জামায়েতে ইসলামীর তিন শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং দেলোয়ার হোসনে সাঈদীকে একই দিন গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রথমে তাদের ভিন্ন একটি মামলায় আটক করে পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানো হয়। সংসদের প্রথম অধিবেশনেরই যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই বিচারের দাবীতে যেসব সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরেই সোচ্চার ছিল তারা ট্রাইব্যুনাল গঠনে দেরী হওয়ায় এক ধরনের হতাশা প্রকাশ করছিল। আইনমন্ত্রী ব্যরিষ্টার শফিক আহমেদ অবশ্য বলেছিলেন আদালতের অবকাঠামোসহ যাবতীয় সুবিধাদি নিশ্চত করার জন্যই সরকার এ সময় নিয়েছিল।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয় তখন এনিয়ে এক ধরনের রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরী হয় যেটি এখনও চলছে। বিএনপি এবং জামায়েতে ইসলামীসহ তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে বিভিন্ন ঘটনার মতো একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কাজ শুরু করা। স্বাধীনতার ঠিক ৪০ বছরে এসেই এর প্রথম বিচার কাজ শুরু হয়। কিন্তু এ বিচার কাজ শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যায় সেদিকে দেশে-বিদেশে অনেকেই গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছেন। চল্লিশে বাংলাদেশের এই পর্বটি পরিবেশন করেছেন আকবর হোসেন।
.......................................................................................................
........................................................................................................
.......................................................................................................