চল্লিশে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধন
২০১১ সালের ১৭ই ফেব্রয়ারি। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বর্ণিল উদ্বোধনীর মাধ্যমে পর্দা ওঠে দশম ক্রিকেট বিশ্বকাপের। ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার যৌথ আয়োজনে এই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করার পরপরই চোখ ধাঁধানো আতসবাজি, আর দেশ-বিদেশের শিল্পী কলা কুশলীদের অংশগ্রহণে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
মাঠে বসে হাজার হাজার দর্শক সেদিন সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এর পাশাপাশি স্যাটেলাইটের কল্যাণে বিশ্বের ১৮০টির মত দেশে এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। হাজার হাজার দর্শকদের মত মাঠে বসে সেদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছিলেন ইফতিশাম নাসিম মৌ, যিনি বর্ণনা করেছেন তাঁর সেই অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। তিনি বলছিলেন চড়া দামে টিকিট কিনে এবং দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থেকে এই অনুষ্ঠান দেখার পেছনে যে বিষয়টি কাজ করেছিল সেটি ছিল ক্রিকেটের প্রতি উন্মাদনা । ২০০৪ সালে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভারত, পাকিস্তান শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলছিলেন পরে নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান আয়োজক দেশ থেকে বাদ হয়ে যায়। এদিকে বাংলাদেশ প্রথম বারের মত এই ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়ে তাকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। সারাদেশে চারটি স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা সহ বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরা ও একটি আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বোর্ড আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে বোর্ড। সেখানে বেশ কয়েকটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। তবে জালাল ইউনুস বলছিলেন সবদিক বিবেচনা করে ভারতের কোম্পানি উইজক্রাফ্টকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর স্থানীয় ভাবে তাদের সঙ্গে কাজ করে বিজ্ঞাপনী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা এশিয়াটিক।
সংস্থাটির কর্মকর্তা তাহসিন সাইয়িদ বর্ণনা করেছেন কোন কোন বিষয়গুলোকে তখন প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল অনুষ্ঠানে । চৌদ্দটি জাতীয় ক্রিকেট দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি ভ্যেনুতে মোট আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আর এই টুর্নামেন্টের ম্যাসকট ছিল ১০ বছর বয়সী তরুণ উদ্যমী একটি হাতি, যার নাম ছিল স্টাম্পি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একদিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মিরপুরে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে।
.......................................................................................................
........................................................................................................
.......................................................................................................