চল্লিশে বাংলাদেশ -নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’ 'বাকের ভাই'
১৯৯৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, আদালতের রায়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয় বাকের নামে একজন মাস্তানের। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি সতিক্যারের কোনো ঘটনা নয়।বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকের প্রধান চরিত্র বাকের যে তার পরোপকারী স্বভাবের কারণে এলাকার রোকজনের কাছে 'বাকের ভাই' হিসেবে পরিচিত।তার এই ফাঁসি দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।উপমহাদেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাহিত্যিক কর্ম বা সাহিত্য থেকে উঠে আসা কাল্পনিক চরিত্র নিয়ে নানা সময়ে আলোড়ন দেখা গেলেও বাকের ভাইয়ের ফাঁসি দেয়ার ঘটনাকে ঘিরে দর্শকদের মাঝে যে তীব্র প্রতিক্রীয়ার তৈরি হয়েছিল তাকে এর সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজনই মনে করছেন বিরল এবং বিস্মযকর।
বাকের ভাই চরিত্রের অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর বলেন, নাটক প্রচারের দিনটিতে ঢাকার চেহারা যেন কারফিউর মতো রূপ নিয়েছিল।বাকের ভাইর ফাঁসি হয় যার সাক্ষ্য দেয়ার কারণে সেই বদী চরিত্রের অভিনেতা আব্দুল কাদের বলেন, বাকের ভাইর ফাঁসির প্রতিবাদে সৃষ্ট বিক্ষোভের মুখে তারা থানায় জিডিও করেছিলেন।বাকের ভাইর কুলখানির নিমন্ত্রণও পেয়েছিলেন বলে জানান মি. কাদের। দেশের বিভিন্ন জাযগায় বাকের ভাইর ফাঁসির প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ হয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্র মোর্শেদ নোমান বর্ণনা করেনই সেই অভিজ্ঞতার কথা। আর নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ দর্শকদের এমন প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
চল্লিশে বাংলাদেশে বাকের ভাইকে নিয়ে শুনুন শায়লা রুখসানার প্রতিবেদন।
................................................................................................................
................................................................................................................
................................................................................................................