চল্লিশে বাংলাদেশ
শান্তিতে নোবেল জয়
২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর নরওয়ের নোবেল পিস প্রাইজ কমিটি ঘোষণা করে সেই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণের জনক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক। সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতবেগে। দুপুরের পরপরই পরিচিত, অপরিচিত, শুভানুধ্যায়ী, সাংবাদিক—সবার একমাত্র গন্তব্য হয়ে ওঠে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয় সংলগ্ন ড. ইউনুসের বাসভবন।
এরপর প্রায় দুমাস ধরে সংবর্ধনা আর শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসেছেন ড. ইউনুস। ওই বছরেরই দশই ডিসেম্বর নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন ড. ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে তাসলিমা বেগম।
অসলোর সিটি হলে শান্তিতে নোবেল পদক গ্রহণ করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
অসলোর সিটি হলে সেদিন ড. ইউনুস তাঁর দেয়া নোবেল বক্তৃতা শুরু করেন বাংলায়। ঐতিহাসিক সেই বক্তৃতায় ড. ইউনুস বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন সবার যৌথ উদ্যোগই পারে একটি দারিদ্রমুক্ত বিশ্ব তৈরি করতে যেখানে দারিদ্র্য থাকবে জাদুঘরে। অবশ্য একজন অর্থনীতিবিদ হওয়ার পরও কেন শান্তিতে নোবেল দেয়া হলো ড. ইউনুসকে সেরকম একটি আলোচনা বেশ জোরেসোরেই চলেছে তাঁর নোবেল বিজয়ের পর। ক্ষুদ্র ঋণের পর ড. ইউনুস এখন কাজ করছেন তাঁর নতুন ধারার সামাজিক ব্যবসা নিয়ে। বলা হচ্ছে, এসবই তিনি করছেন, একটিমাত্র লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। ড. ইউনুসের সেই লক্ষ্যটি হলো, দারিদ্র্য একদিন ঠাঁই পাবে জাদুঘরে।
চল্লিশে বাংলাদেশের এবারের পর্বে থাকছে ড. ইউনুস ও তার গ্রামীণ ব্যাংকের শান্তিতে নোবেল বিজয় প্রসঙ্গ।অনুষ্ঠানটি পরিবেশন করছেন আহরার হোসেন।
.......................................................................................................
........................................................................................................
.......................................................................................................