চল্লিশে বাংলাদেশ
প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেল
দু’হাজার সালের ১৪ই এপ্রিল। প্রথমবারের মত বাংলাদেশে একটি বেসরকারি terrestrial television channel আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্প্রচার শুরু করে। ঢাকার সোনারগাও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একুশে টিভির যাত্রা শুরু হয়। বেসরকারি খাতে টেলিভিশন লাইসেন্স প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার টেন্ডার আহ্বান করে ১৯৯৭ সালে। এ এস মাহমুদের মালিকানাধীন একুশে টেলিভিশনসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান এই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে এ এস মাহমুদকে লাইসেন্স প্রদান করা হলে, তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একুশে টেলিভিশনকে লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তরিত করেন। একুশে টিভি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়, যার পেছনে একটি কারণ ছিলো ভিন্ন আঙ্গিকে খবর পরিবেশন। যে নতুনত্ব একুশে টিভি বাংলাদেশের টেলিভিশনের পর্দায় নিয়ে এসেছিলো, তা দর্শকরা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখেছিল।
কিন্তু জনপ্রিয়তার সাথে সাথে ইটিভির আকাশে দ্রুত কালো মেঘও জমা হতে থাকে। আদর্শগত দ্বন্দের কারণেই সম্ভবত দেশের একটি রাজনৈতিক শিবির থেকে একুশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক এবং একজন সাংবাদিক উচ্চ আদালতে ইটিভির লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করে রীট করেন। তাদের অধিকাংশ যুক্তি আদালত খারিজ করলেও, তৎকালীন সরকারের অসহযোগিতার কথা বলে আদালত।
পরবর্তীতে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করার আবেদন সুপ্রিম কোর্ট নাকচ করে দেয়, এবং ২০০২ সালের ২৯শে আগষ্ট অনুষ্ঠান চলাকালে একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
.......................................................................................................
........................................................................................................
.......................................................................................................