চল্লিশে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে মোবাইল প্রযুক্তি
বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনে মোবাইল টেলিফোন প্রযুক্তি। তবে পথটা খুব সহজ ছিল না। আশির দশকের শেষে চালু ছিল পেজার যন্ত্র, যা কোমরের বেল্টে বেঁধে অনেকেই ঘুরতেন। ওই সময়েই, ওয়াকিটকি ধরনের একটি মোবাইল ফোনও চালু হয়েছিল বাংলাদেশে। এশিয়ার প্রথম মোবাইল অপারেটর হাচিন্সন তখন তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে বাংলাদেশে। কিন্তু সেসময় লাইসেন্স পেলেও ঠিক মোবাইল ফোন নিয়ে বাজারে আসতে পারেনি হাচিন্সন এবং তাদের বাংলাদেশী সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিটিএল বা 'বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড'।
১৯৮৯-৯০ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের রাস্তায় দুই একজনের হাতে দেখা যেত অদ্ভুত দর্শন একধরনের যন্ত্র, যা কানে ঠেকিয়ে মানুষ কথা বলছেন দেখে মানুষজন অবাক হয়ে যেত। ১৯৮৯ সালে বেতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন তিন ধরনের লাইসেন্স দিয়েছিল তখনকার বাংলাদেশ সরকার। সেগুলি হল পেজার, মোবাইল ফোন এবং নদী এলাকায় বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থার লাইসেন্স।
পরে ১৯৯১ সালে সে লাইসেন্সগুলি আবার বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার। তবে বিটিএল এবং হাচিন্সন আদালতে গেলে আদালত তাদের পক্ষেই রায় দেয় শেষ পর্যন্ত। আদালতের রায় পাওয়ার পর হাচিন্সন এবং বিটিএল অবশ্য পরে বিক্রি করে দেয় তাদের সেই মোবাইল ফোনের লাইসেন্স। সেসময় অপেক্ষাকৃত গরীব দেশ বলে পরিচিত বাংলাদেশে একটি মোবাইল ফোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন কোম্পানি সিটিসেল। শুরুর দিকে মোবাইল ফোনের নেটওর্ক শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই ছিল। এর কিছুদিন পর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয় চট্টগ্রামেও। তবে গ্রাহক সংখ্যা ছিল আপেক্ষাকৃত কম। কারণ ফোন কোম্পানির যন্ত্রপাতির ধারণ ক্ষমতাও ছিল বেশ কম।
১৯৯৬ সালে তিনটি প্রতিষ্ঠান 'গ্রামীণ ফোন', 'একটেল' এবং 'সেবা', জিএসএম ঘরনার মোবাইল ফোন সেবা দেয়ার জন্য লাইসেন্স পায়। দ্রুত এই সেবা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে। ১৯৮৯ সালে যে কয়েকশ ব্যবহারকারী নিয়ে মোবাইল ফোন চালু হয়েছিল বাংলাদেশে ২০১২ সালে এসে সেই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে ৮ কোটির বেশিতে। সিটিসেলের কর্ণধার মোর্শেদ খান, বর্তমানে সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরী এবং চলচ্চিত্র নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা বলেছেন বাংলাদেশে মোবাইল প্রযুক্তির বিকাশ তারা কীভাবে দেখেছেন।
.......................................................................................................
........................................................................................................
.......................................................................................................